নিউজ ডেস্ক- দাবি মতো পণ না দেওয়ায় গৃহবধুকে শ্বশুরবাড়িতে অনাহার অর্দ্ধাহারে রেখে নির্মম অত্যাচার। অবশেষে মৃত্যু গৃহবধুর। ঘটণা তিরুঅনন্তপুরমের। পাঁচ বছর ধরে শ্বশুরবাড়িতে কখনো কখনো জুটত চাল আর চিনি। কেরলের বাসিন্দা তুষারার মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে৷ উঠেছে প্রশ্ন৷ কেরলের মতো শিক্ষিত রাজ্যে আজও পণপ্রথার কারণে কি করে মৃত্যু হয় কোনো গৃহবধুর?
কোল্লামের একটি সরকারি হাসপাতালে সম্প্রতি মৃত্যু হয় তুষারার৷ তারপর তাঁর শাশুড়ি ও স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অপুষ্টির কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার৷ দীর্ঘদিন না খেতে পেয়ে তাঁর ওজন কমতে শুরু করে৷ মৃত্যুর সময় তুষারার ওজন দাঁড়ায় মাত্র ২০ কেজি৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরে মাংসের লেশ মাত্র ছিল না৷ হাড়ের ওপর শুধু চামড়া বসানো ছিল৷
মেয়ের শ্বশুড়বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলে তুষারার পরিবারও। তুষারার মা বিজয়লক্ষ্মী বলেন, গত এক বছর ধরে মেয়েকে তাদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হত না৷ মেয়ের ওপর অকথ্য শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত৷ বিয়ের সময় কিছু সোনার গয়না ও টাকা দেওয়া হয়েছিল৷ পরে আরও দু’লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল৷ সেই কারণে তুষারাকে বাপেরবাড়ি থেকে পণের টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হত।প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে চন্দুলালের সঙ্গে বিয়ে হয় তুষারার৷ তাদের দুই সন্তান আছে৷ তারাও বাড়ি থেকে তুষারার চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেতেন৷চলত মারধোর,অকথ্য নির্যাতন।