নিউজ ডেস্ক- বালোচিস্তানে স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের দু’টি পৃথক হামলায় অন্তত সাতজন পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও অনেকে। সূত্রের খবর, হামলার নেপথ্যে রয়েছে পাক শাসনতন্ত্র উপড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর ‘বালোচ লিবারেশন আর্মি’।
সেনা সূত্রে খবর, সোমবার বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে পির ঘাইব এলাকায় পাক সেনার এক টহলদার বাহিনীকে নিশানা করে বিদ্রোহীরা। রুটিন মাফিক টহল দিয়ে বেস ক্যাম্পে ফেরার সময় কনভয়টিকে লক্ষ্য করে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই হামলায় নিহত হয়েছেন ৬ জওয়ান। অন্য একটি ঘটনায় মানদ এলাকায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে এক সৈনিকের মৃত্যু হয়।
২০১৫-তে স্বাক্ষর হওয়া মউয়ের ভিত্তিতে চিন-পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি নির্মাণকার্য শুরু হয়েছে৷ চিনের প্রস্তাবিত ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ নীতির উপর ভিত্তি করে, তাদের অর্থ সাহায্যেই এই করিডর তৈরি হচ্ছে৷ পাকিস্তানের গদর পোর্ট থেকে চিনের শিনজিং প্রদেশ পর্যন্ত মোট ২,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথটি তৈরি করা হচ্ছে৷ এই করিডর নিয়ে প্রথম থেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন বালোচিস্তান-সহ গিলগিট-বালতিস্তান ও পিওকে-র নাগরিকরা।অভিযোগ, পেশিশক্তির জোরে তাঁদের বাসভূমি কেড়ে নিয়ে এই করিডর তৈরি করছে পাকিস্তান৷ যাতে পূর্ণ মদত দিচ্ছে চিন৷ এই অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই পাক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছেন বালোচ নাগরিকরা এবং তাঁদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে পাক সেনা৷
এই হামলার আগেও চলতি মাসেই দক্ষিণ বালোচিস্তানের কেচ জেলার ছোট্ট উপত্যকা বুলেদা এলাকায় ফ্রন্টিয়ার কোরের এক মেজর-সহ ৭ জন পাক সেনাকে খতম করে বিদ্রোহীরা। তাঁদের গাড়িতে ল্যান্ডমাইন দিয়ে হামলা চালানো হয়। পাকিস্তান-ইরান সীমান্ত থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে এই বিস্ফোরণ ঘটে।