নিউজ ডেস্ক- কাশ্মীরের নাগরোটায় বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে যে ৪ জঙ্গির মৃত্যু হয়। মৃত ৪ জঙ্গির কাছ থেকে বিপুল অস্ত্রের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পাকিস্তানে তৈরি বেশ কয়েকটি মোবাইল হ্যান্ড সেট, জিপিএস সিস্টেম, পাকিস্তানে তৈরি ওয়ারলেস সেট। ওইসব মোবাইল ও ওয়ারলেস সেটের মাধ্যমে জঙ্গিরা জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের শ্যালক আবদুর রউফ আসগারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই ৪ জঙ্গি জম্মুর সাম্বা সেক্টরে নালার মধ্যে দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে। তারপর জাটওয়াল থেকে তারা একটি ট্রাকে চড়ে কাঠুয়ার দিকে রওনা দেয়। জাটওয়াল থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে পাকিস্তানের শাকারগড় জঙ্গি ট্রেনিং ক্যাম্প। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ওই ট্রাকটিকে বাম টোল প্লাজায় আটক করে সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিস। পুলিস দেখেই ট্রাক ফেলে জঙ্গলে পালায় ট্রাকের চালক। অন্যদিকে, ভেতরে থাকা জঙ্গিরা পুলিস ও সোনার সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু করে দেয়।
নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ১১টি এ কে ৪৭ রাইফেল, ২৯টি গ্রেনেড, ২৩ ম্যাগাজিন, ১০টি আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার। এছাড়াও উদ্ধার হয় একটি জিপিএস সিস্টেম, একটি ক্য়াসিও ঘড়ি।
গোয়েন্দাদের দাবি, ভারতে ঢোকার পরই জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে আবদুর রউফ আসগার ও কাশ্মীরে তাদের এজেন্ট মহম্মদ আসগার খান কাশ্মীরি।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কোন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন ২০০৮ এর মুম্বই হামলার মত বড়সড় কোনও জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছিল ওইসব জঙ্গিরা। পুলওয়ামা হামলার মাথাও ছিল এই আবদুর রউফ আসগার।